শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : বিদেশী ফল ড্রাগনের পর এবার দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে, পবিত্র কোরআনে বর্ণিত মরুভূমির পবিত্র মিষ্টি ফল ত্বীন। গাছে আশাতীত ফলনে লাভবান জেলার ত্বীন চাষি মতিউর মান্নান। ডুমুর আকৃতির অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি এই ফল দৃষ্টি কেড়েছে, অসংখ্য মানুষের। এছাড়াও এই ফলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। ত্বীন চাষে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে, কৃষি বিভাগ। 

বিস্তৃর্ণ গাছে কাঁচা- পরিপক্ক-পাকা ফলই জানান দিচ্ছে, মরুভূমির পবিত্র মিষ্টি ফল ত্বীনের পর্যাপ্ত ফলন হয়েছে এই বাগানে। এই ত্বীন ফলের বাগান দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিউর মান্নানের। প্রথমে গত দু’বছর আগে গাজিপুর থেকে ৫ জাতের ৯’শ চারা এনে চার বিঘা পতিত জমিতে ত্বীণ ফলের চাষ শুরু করেন তিনি। নিজে কলম চারা তৈরির মাধ্যমে এখন তার ত্বীন বাগান ছয় বিঘায় সম্প্রসারণ হয়েছে। ফল বিক্রি করে প্রচুর লাভবান তিনি।

মতিউর মান্নান জানান, মৌসুমের শুরুতেই প্রায় ১০ লাখ টাকার ত্বীন ফল বিক্রি করেছি।তৈরিকৃত কলম চারাও বিক্রি করছি। বেশ লাভ আছে,এ ফল চাষে। ইচ্ছে আছে,আরো কিছু জমিতে নতুন করে ত্বীন বাগান করবো।

ব্যবসায়ী ছেলেকে ত্বীন চাষে অনুেেপ্ররণা জুগিয়েছেন পিতা। তিনিও জানান, তার পুত্র বেশ লাভবান এ ফলের বাগান করে। ডুমুর আকৃতির অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি এই ফল অসংখ্য মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। বাগানের ফল দেখতে,চাষ পদ্ধতি জানতে এবং গাছ থেকে ফল তুলে খেতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন। শিশুরা ফল খেয়ে বেশ আনন্দ পাচ্ছে। চট্রগ্রাম থেকে ত্বীন বাগান দেখতে আসা মোস্তাকিম জানান,তিনি বেশ উৎসাহ পেয়েছেন,এ বাগান দেখে বাগান করার।ভাবছেন,তিনিও ত্বীনের বাগান করবেন।

দিনাজপুর শহর থেকে ত্বীন বাগান দেখতে আসা একরামুল হক ভোলা জানালেন, তিনি মূলতঃ চাষ পদ্ধতির কলা-কৌশল জানতেই বাগানে এসেছেন। বাগান করবেন বলেও জানালেন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানালেন, বাণিজ্যিকভাবে এক হাজার টাকা কেজি দরে শুধু ফল বিক্রি নয়,নিজেই ত্বীনের কলম চারা তৈরি ও বিক্রি করছেন, মতিউর মান্নান। তাই অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি এই ত্বীন ফলের বাগান করতে অনেকে আগ্রহী হয়েছেন।লাভজনক ফল ত্বীন চাষে পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এই ফল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ৩১, ২০২১)