মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে ক্ষমতাসীন দলের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘষের্র ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ আহত হয়েছে বলে জানা গেলেও পুলিশ বলছে আহত হয়েছেন ৫ থেকে ৭ জন।

রবিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের মুন্সিবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রহিমপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ইফতেকার আহমদ বদরুল বাদী হয়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদারকে আসামী করে ৩৫জনের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এপর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান। তবে আটক দু’জনের নাম জানাতে পারেননি তিনি।

জানা যায়,সাবেক চিফ হুইপ ও সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি গাড়ি বহর নিয়ে মুন্সিবাজার এলাকায় তাঁর ছোট ভাই ও রহিমপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী ইফতেকার আহমদ বদরুল এর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিদ্রোহী প্রার্থী জুনেল আহমদ তরফদার এর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন, এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষে উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস শহীদ এমপির ব্যক্তিগত এপিএস ইমাম হোসেন সোহেল, গানম্যান তারেকুল ইসলাম, গাড়ি চালক স্বপন ও শ্রীমঙ্গলের আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ সাইফুলাহসহ অন্তত ৫ থেকে ৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুনেল আহমেদ তরফদারসহ ৪জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুস শহীদ এমপিকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে গুরুতর আহত গানম্যান তরিকুল, গাড়িচালক স্বপন ও ব্যক্তিগত একান্ত সহকারী ইমাম হোসেনকে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঠানো হয়। সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাজার এলাকায় যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে তবে এঘটনায় নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি।

(একে/এএস/জানুয়ারি ০৩, ২০২২)