বাগেরহাট প্রতিনিধি : মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা রুস্তুম আলী পঙ্গুত্ব বরণ করার ঝুঁকিতে পড়েছে। পায়ের অস্ত্রপাচারের টাকা জোগাড় করতে না পেরে দিনমজুর রুস্তুম এখন সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তার এ দুর্বিসহ জীবন ও ভবিষ্যৎ অন্ধকার থেকে পরিত্রান পাবার কথা জানাবেন - সে পথ খুঁজছেন ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের এ অকুতোভয় সৈনিক।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯নং সেক্টরের সুন্দরবন সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) জিয়া উদ্দিন ও সুবেদার ফুল মিয়ার অধীনে যুদ্ধ করেছেন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগী বন্দরের মৃত হামেজ খাঁর ছেলে দরিদ্র ও অসহায় রুস্তুম আলী (৬৫)। যুদ্ধের পর থেকে তিনি সুন্দরবনের বগী ষ্টেশনের দৈনিক পারিশ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। ২০১৩ সালে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে দিনমজুর রুস্তুম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
অনেক কষ্টে ধার দেনা করে প্রায় লাখ টাকা খরচ করে পায়ের চিকিৎসা করালেও কোন লাভ হয়নি। এখন কোন কাজ করতে না পারায় খেয়ে না খেয়ে তার সংসার নিয়ে গভীর সংকটে আছেন এ মুক্তিযোদ্ধা।

স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে চলা রুস্তুম আলী শরণখোলা প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তার পায়ে অস্ত্রপাচার করা প্রয়োজন। এতে এক লাখ টাকা খরচ হবে। বেকার হয়ে পরায় এমনিতেই তার সংসার চলছেনা। অস্ত্রপাচারের খরচ মেটাবে কি করে। অনেকের কাছে গিয়েও কোন সাহায্যের কিনারা করতে পারেননি তিনি। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনকে কিছু করছেন এবং আরো করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তার সাক্ষাৎ পেলে হয়তো তার কাছে এ অসহায়ত্বের কথা রুস্তুম আলী বলতে পারতেন। যাবার সময় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরতে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

(একে/এটিআর/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৪)