শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : উত্তরের সীমান্ত জেলা দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত। জেলায় গত তিনদিন ধরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। আজ শুক্রবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডা,ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছেনা শীতের প্রকোপ। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে কুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার চাদর ভেদ কওে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছেনা শীতের প্রকোপ। ধান, ঘাষ, ফুল, লতা-পাতা, গুল্মে শিশিরে ভেজা থাকছে। সূর্যের আলোয় ঝিলিক মারছে শিশির ফোটা। মঙ্গলবার সন্ধা থেকে জেঁকে বসে কন কনে শীত। কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ। জেঁকে সবা কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।

ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা । হাসপাতালে বেড়ে চলেছে শিশু ও বয়স্ক রোগী সংখ্যা। হঠাৎ শীতে শ্রমজীবি মানষের বেড়েছে চরম দুর্দশা। ঠান্ডার কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না তারা । হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এদিকে শীত মোকাবেলায় দিনাজপুরে জেলা প্রশাসক ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে কম্বল এবং শুকনো খাবারের প্যাকেট পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। তিনি জানান,শীত মোকাবেলায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত চাহিদা পত্রের অর্ধেক শীতবন্ত্র কম্বল ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়াও বে-সরকারিভাবেও শীত নিবারণের পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।

ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেড লাইট জ্বালিয়ে।

এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, দিনাজপুরে আজ শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রর্তা ৯৪।২/৩ দিনে তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ এই মূহুর্তে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের দাবি তুলেছে।

(এসএএস/এএস/জানুয়ারি ০৭, ২০২২)