সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদে নির্বাচনের জেরকে কেন্দ্র করে কুতুবপুর গ্রামে কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহম্মেদের স্মৃতি বিজড়িত বৈঠকঘর সহ ১০টি ঘর বাড়িতে বিজয়ী মেম্বার হারিছ মিয়ার নেতৃত্বে ভাংছুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিজীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হারিছ মিয়া সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম জানান, ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন বিকেলে কলসাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হারিছ মিয়া তার অন্যান্য লোকদের নিয়ে ফুটবল প্রতীকের ব্যালটে জোড় পূর্বক সীল মারছিলেন। শফিকুল ইসলাম মোরগ প্রতীকের একজন মেম্বার প্রার্থী হিসেবে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে হারিছ মিয়ার লোকজন শফিকুলকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। শফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে গালিগালাজ করে নিরুপায় হয়ে কেন্দ্র থেকে চলে আসেন। রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হলে হারিছ মিয়া জয়ী হয়ে তার নেতৃত্বে ধাঁরালো অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামের বসতবাড়ি সহ হুমায়ুন আহম্মদের বৈঠকঘর এবং একই গোষ্টির সমর্থকদের ১০টি ঘরবাড়ি ভাংছুর এবং লোটপাট করে।

এসময় তারা শফিকুলের বসতঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীরা অন্যান্য বাড়ি থেকে গরু বাছুরও নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনার পর কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি জানান, মামলার তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। এ ব্যাপারে বিজয়ী মেম্বার হারিছ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে নির্বাচনের জের ধরে নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাপন চন্দ্র সরকারের একটি দোকানঘর কুপিয়ে ভাংছুর করেছে র্দূবৃত্তরা।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, জনগনের মাঝে যে আতংক দেখা দিয়েছিল তা গণ্যমান্য লোকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিরসন করেছি এবং সামাজিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে দুঃখজনক ঘটনাটি শেষ করা হবে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০২২)