আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী সালনা রোড এটিআই পূর্ণবাসন এলাকার সামনের রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। এ রাস্তাটি জনগণের চলাচলের সুবিধা হলেও যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হবার কারনে রাস্তাটি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে উঠবে বলে ধারনা স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের এটিআই পূর্ণবাসন এলাকার সামনের রাস্তাটি শিমুলতলী সালনা রোড নামেই পরিচিত।

রাস্তাটি হওয়াতে খুশি স্থানীয়রা, কিন্তু এলাকাবাসীর মতে ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি যেন একটি মৃত্যুর ফাঁদ। এই ড্রেনেজ ব্যবস্থায় এিশ ফিট পরপর রাখা হয়েছে একটি করে ম্যানহোলের ঢাকনা। যা কিনা কম দামি এবং দুর্বল ঢালাই লোহা দিয়ে তৈরি। একটি অংশের কাজ শেষ হলেও, বাকি রাস্তাটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে, এখনি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ম্যানহোলের ঢাকনা গুলি।

এলাকাবাসী আরও জানায়, কিছুদিন পূর্বে ভেঙে যাওয়া একটি ম্যানহোলের ভিতরে(৪ফিট গভীর) একটি শিশু পড়ে গিয়ে আহত হয়েছিল। শিশুটি বর্তমানে ভালো আছে। কিন্তু ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাস্তার কাজ এখনো সম্পুর্ন হয়নি তাতেই এই সমস্যা। আর যখনই গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে এই হালকা ঢাকনাগুলি উপর দিয়ে লোড সম্পুর্ন বাস, ট্রাক ও বড় বড় লরি যাবে তখন ম্যানহোলের ঢাকনাগুলি ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ফিট প্রশস্ত রাস্তাটির মাঝ বরাবর করা হয়েছে ড্রেন (পানি নিষ্কাশন) ব্যবস্থা। কিছু কিছু জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনা ভাঙ্গা ও অদৃশ্য অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে রাস্তাটি প্রস্তুতকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান (বিশ্বাস বিল্ডার্স এন্ড কনস্ট্রাকশন) এর ইঞ্জিনিয়ার রুবেল রানার সাথে কথা বললে তিনি জানান, একটি ম্যানহোলের ঢাকনা নষ্ট হয়েছে যার জন্য আমি রিকুজিশন দিয়েছি দুই-একদিনের ভিতরে সেটা পেয়ে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কাজটি ২০১৯ সালের টেন্ডারের কাজ কিন্তু ড্রেনেজ ব্যবস্থার ডিজাইনে তিন- তিনবার পরিবর্তনের কারণে রাস্তাটির কাজ ধরতে আমাদের সময় বেশী লেগেছে।

রাস্তাটির মাঝ বরাবর ড্রেনেজ ব্যবস্থা কতটা বিপদজনক জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানহোলের ঢাকনা যেগুলি দেওয়া হয়েছে তা অনেক হেভি ওয়েট সম্পুর্ন, এর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন গেলেও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তবে ডিজাইন পরিবর্তন করে আরও হেভি করা যেতো কিন্তু প্রকল্পটির মেয়াদ ও অর্থ শেষ হবার কারণে সেটি আর সম্ভব নয়।

রাস্তার মাঝ বরাবর ড্রেনেজ সিস্টেম কতটা বিপদজনক হতে পারে জানতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্ত থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

রাস্তার এই অবস্থা থেকে উত্তরনের করনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে গাজীপুরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ বলেন, ব্যাপারটা আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিচ্ছি, তারপর ব্যবস্থা নিবো।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২২)