সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া ও সয়াগোবিন্দ মহল্লার মধ্যে সংঘর্ষের সময় স্কুলছাত্র ইমরান হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেছে নিহতের পরিবার। সংবাদ সন্মেলনে নিহতের পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মহল্লার পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজাবত আলী।

শনিবার সকালে সয়াগোবিন্দ পঞ্চায়েত কমিটির কার্যালয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কেরামত উল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ তারিখে পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া ও সয়াগোবিন্দ মহল্লার মধ্যে সংঘর্ষের সময় দিয়ারধানগড়ার সন্ত্রাসীদের হাতে দিনমুজুর ইকবাল হোসেন কুনুর ছেলে স্কুল ছাত্র ইমরান হোসেনকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর ঐদিনই অজ্ঞাত ২শ জন সহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামীরা চোখের সামনে ঘোরা ফেরা করলেও অদৃশ্য কারণে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না।

তাই আগামী ৭দিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আগামীতে মানববন্ধব, হরতাল অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়। সংবাদ সন্মেলনে নিহত ইমরানের মা, বোন, ও সিরাজগঞ্জ পৌর সভার প্যানেল মেয়র (০২) সেলিম আহমেদ, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্যঃ দীর্ঘদিন যাবৎ সিরাজগঞ্জ শহরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকার দিয়ারধানগড়া ও সয়াগোবিন্দ মহল্লাবাসির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে উভয় গ্রামবাসির মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তিতে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় মিমাংসা হয়।

সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে হঠাৎ দুই মহল্লাবাসির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দিয়ারধানগড়া মহল্লার যুবকেরা দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সয়াগোবিন্দ মহল্লায় হামলা করে ইমরানসহ অন্তত ১১ জনকে কুপিয়ে আহত করে ও প্রায় পাচটি বাড়ি ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গুরুতর আহত অবস্থায় ইমরানকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

(এসএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪ )