রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মসজিদের ভেতরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচি পরিচালিত মক্তবে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মনিরুল ইসলাম নামে এক ধর্মীয় শিক্ষককে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিনমাসের বর্ধিত কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডিত ধর্মীয় শিক্ষক বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ভাঙার গ্রামের মো. শুক্কুর আলীর ছেলে। তিনি বিবাহিত। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটি একই ইউনিয়নের ভাটির গ্রাম এলাকার দরিদ্র এক গার্মেন্টসকর্মী দম্পতির কন্যাশিশু।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাহাদুরাবাদ ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছোট মেয়ে স্বপ্না বেগম স্বামীসহ ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করায় তাদের ৫ বছর বয়সী কন্যাশিশু তার নানীর কাছে থাকত। শিশুটি পাশের ভাঙ্গারগ্রাম মসজিদে আরবি পড়তে যেত। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সকালে মক্তবের ছাত্রছাত্রীদের ছুটি দিয়ে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে ধর্মীয় শিক্ষক মনিরুল। পরে শিশুটি বাড়ি ফিরে গেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরদিন শিশুটির নানী বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন স্পেশাল পিপি মোহাম্মদ আকরাম হোসেন ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. রেজাউল আমিন শামীম।

(আরআর/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২২)