স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ তার খোলশ পরিবর্তন করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জনগণকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে এদেশের জনগণ কখনও আপস করেনি, করবেও না।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলায়তনে বাংলাদেশ মফ:স্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন আয়োজিত সম্প্রচার নীতিমালা একনায়কতন্ত্র বিষয়ক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের জনগণ অতীতেও বৃটিশ, পাকিস্তান ও স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এবার এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে জনগণ। হামলা-মামলা, গুম-খুন করে লাভ হবে না। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের সব কর্মকাণ্ডই জনগণের বিরুদ্ধে।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে না। আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করে। অতীতে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল এবারও তারা উপরের খোলশ পরিবর্তন করে একদলীয় শাসনের দিকে যাচ্ছে।

ফখরুল বলেন, সরকার ক্ষমতাকে অভিনশ্বর করতেই একের পর এক সংবিধান সংশোধন করছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সত্য বলা ও লেখা থেকে বিরত রাখা হচ্ছে। আর বিচারপতিদের অভিশংসনের মাধ্যমে বিচারপতিদের মানসিক ও পেশাগত চাপে রেখে সঠিক বিচার থেকে বিরত রাখছে সরকার।

তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন করার নৈতিক অধিকার এ সরকারের নেই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তারা যে বিচারপতিদের অভিশংসনের আইন করছে তা হবে আওয়ামী লীগের দলীয় বিচার।

জাতীয় ঐক্য হয়েছে এমন দাবি করে বিএনপির এই মূখপাত্র বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই। তাই গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। সবাইকে এক হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে এ স্বৈরাচারী সরকারের বিদায় ঘটাতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪)