বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে সরকারী ঘোষিত ফি মুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স নবায়নের ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের তথ্য যাচাই দুই মাসেও শেষ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। দেশ যখন তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে তখন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের এমন ঘটনায় সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বাগেরহাটের প্রবীন রাজনীতিবীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের লাইসেন্সকৃত একটি রিভলবার ও একটি দোনালা বন্দুক রয়েছে। স্বরাস্ট মন্ত্রনালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি মওকুফ করেছে। এবিষয়ে যথায়থো ব্যবস্থা নিতে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তার ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ফি মওকুপের জন্য গত ১১ নভেম্বর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।

জেলা প্রশাসন এই বীর মুক্তিযোদ্ধার আবেদনটি ২৪ নভেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তর থেকে এক মাস পর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। আদেনের বিষয়ে ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইতিবাচক রিপোর্ট দেয়ার ওই দিনই নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের পাঠিয়ে দেয়। দুই মাস অতিবাহিত হলেও বিষয়টির কনো সুরহা হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি একজন গেজেটভুক্ত সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্র ফি মুক্ত ঘোষনা করেছে সরকার। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের সময় বিষয়টি জেনে জেলা প্রশাসকের বরাবরে সকল কাগজপত্রসহ আবেদন করি। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে মাত্র একটি ক্লিকে যেখানে সবকিছু যাচাই করা সম্ভব। সেখানে দিনের পর দিন আমাকেই ঘুরারো হচ্ছে, এটা এক ধরনের হয়রানি, অপমানকর ঘটনাও বটে। আমি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হয়ে এভাবে হয়রানীর শিকার। তা হলে সরকারী দপ্তরে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হচ্ছে? এটা খুবই দুঃখজনক।

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ তালুকদার আব্দুল বাকী জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমানের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের সময় তাকে যে হয়রানী করা হয়েছে তা দুঃখজনক। সরকারী সুবিধা দিতে একজন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

এ বিষয়ে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি নীহার রঞ্জন সাহা বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সকল কর্মকর্তাদের জাতীর এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সকল সরকারী সেবা দ্রুত নিশ্চিত করা।

বাগেরেহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এই বিষয়টিতে এতো সময় লাগার কথা নয়। নিশ্চয় কোন অনুবিধা আছে। বিষয়টি তাঁকে (বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মাহফুজুর রহমান) আগামী কাল অফিসে পাঠালে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ডিসি।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০২২)