স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে “পেঁয়াজের ফলন পূর্ব ও পরবর্তী প্রধান প্রধান রোগের প্রাদুর্ভাব এবং তাঁর ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রারম্ভিক কর্মশালা বারি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) কেজিএফ এর ‘Prevalence of Major Pre and Post-Harvest Diseases of Onion and their Management’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ প্রারম্ভিক কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং কেজিএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, আমাদের দেশে প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু আমাদের দেশে বছরে গড়ে মোট পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৯.৫৪ লক্ষ মেট্রিক টন। উপরন্তু ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন প্রধান প্রধান রোগ ও অন্যান্য কারণে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৩০-৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে আমরা প্রতি বছর আমরা মাত্র ১৩-১৪ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভোগের জন্য পেয়ে থাকি। সে কারণে প্রতি বছর আমাদের প্রায় ৮-১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন কারণে যেন পেঁয়াজকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা গেলে আমাদের আর যেমন পেঁয়াজ আমদানি করা লাগবে না তেমনি আমরা বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করতে পারবো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন প্রধান প্রধান রোগ ও অন্যান্য কারণে পেঁয়াজ যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেসব প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, কেজিএফ’র পরিচালক (ক্রপ এন্ড ন্যাচারাল রির্সোস) ড. মো. আককাছ আলী এবং বারি’র উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. মতিয়ার রহমান।

(এসআর/এএস/জানুয়ারি ১৩, ২০২২)