সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অনেকটা গোপনেই ব্যাংকক সফর করছেন। তবে কী জন্য এই গোপন সফর? এ নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে।

সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার একটি ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। ব্যাংককে একটি হোটেলে তিন দিনের জন্য রুমও বুকিং দেওয়া হয়েছে। সেখানে মেয়রের সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনা করছেন আল-হারামাইন ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরের পরিচালক মুক্তাদির আহমদ।

শনিবার ব্যাংকক পৌঁছার পর সেখানে বাংরুমগ্রাড হাসপাতালে তার রক্ত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।

সিলেট মেট্টোলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টিজ’র সহ-সভাপতি হাসিন আহমদ মেয়রের ব্যাংকক সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়র বাংরুমগ্রাড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেয়র ব্যাককে যাওয়ার দিনও আমার সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে আমি আসছি আর উনি যাচ্ছেন। সর্বশেষ শুক্রবারও মেয়রের সেখানে সার্বিক তত্বাবধায়ক মুক্তাদিরের সাথে কথা হয়েছে। মুক্তাদির জানান, মেয়রের রক্ত পরীক্ষাসহ সকল পরীক্ষার রিপোর্ট ডাক্তারের কাছে সন্তোষজনক মনে হয়েছে।

তবে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন মঞ্জু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মেয়র ব্যাংকক গেছেন এরকম কোন তথ্য আমার জানা নেই। আমার জানা মতে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।

সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে দেশেরে বাইরে যেতে পারেন না। এবং দেশের বাইরে গেলে এক জনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দিতে হবে।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র (১ম) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ব্যাংকক গেছেন খবর আমিও পেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী মেয়র দেশের বাইরে গেলে একজনকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দিতে হয়। সে অনুযায়ী আমি প্রথম মেয়র হিবে আমাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু মেয়র কি জন্য ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব না দিয়ে গোপনে ব্যাংকক গেছেন তা উনিই ভাল জানেন।

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪)