কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কেন্দুয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদাসিনতা ও অনিয়মের কারনে শিল্প লাইন থেকে চলছে সেচ লাইন। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিকল্পনায় সেচ লাইন নির্মিত হলেও শিল্প লাইন থেকে সেচ সংযোগ দেওয়ায় সেচ লাইনের ওই স্কিমটি আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়ছে। 

জানা যায়, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের চংনওগাও গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম বাশার বিএডিসি হতে একজন প্রকৃত কৃষক হিসেবে ২০১৪ সালে সেচ লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। যার নং ১০১, দাগ নং- ৩০৪৬ মৌজা চিথোলিয়া। শফিকুল ইসলাম বাশার এ বিষয়টি নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে বলা হয়, একই ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের মৃত সায়েব উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে আতাউল হক মিন্টু শিল্প লাইন থেকে গায়ের জোড়ে সেচ লাইনের সংযোগ দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে অভিযোগের তদন্তে আসেন কেন্দুয়া কার্যালয়ের মোঃ কালিম উদ্দিন এলটি ও লাইনম্যান মোঃ ইলিয়াস। তাদের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পান। মোঃ কালিম উদ্দিন বলেন, শিল্প লাইন থেকে সেচ লাইন দেওয়ার কোন নিয়ম নেই। আমাদের তদন্ত রিপোর্টে বিস্তাড়িত উল্লেখ করে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ বরাবর পাঠিয়েছি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার সেচ লাইনটি সচল রাখতে শিল্প লাইন থেকে সেচ লাইনের সংযোগ বন্ধ করার দাবি জানালেও এখন পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছেনা। উল্টো আমাকে শিল্প লাইনের সংযোগকারী আতাউল হক মিন্টু গায়ের জোরে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেন্দুয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছি। রিপোর্টটি পর্যালোচনা করে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০২২)