দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় পুলিশের সদস্য বহনকারী একটি প্রাইভেটকার পুকুড়ে পড়ে দুই উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দুই জন উপপরিদর্শকের মধ্যে একজনের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ গ্রামে। সড়ক দুর্ঘটনা অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

নিহত উপপরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ এর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ এলাকায়। তিনি কাজী নরুল ইসলামের এক মাত্র ছেলে।

উল্লেখ্য পুলিশের বহন করা মাইক্রোবাস পুকুরের পানিতে পরে দুইজন উপপরিদর্শক নিহত ও এ সময় আহত হয়েছেন একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।

নিহত উপপরিদর্শক কাজী সালেহ আহমদ এর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় তার নিকট আত্মীয় স্বজন সবাই এক নজর নিহতের লাশ দেখার জন্য রাতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

এই বিষয়ে তার চাচাতো বোন জামাই মোঃ নাজিম মুন্সী বলেন, নিহত পুলিশের উপপরিদর্শক এর লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে যার কারনে গ্রামে বাড়িতে কেউ নেই। তবে গ্রামের সবাই প্রচন্ড মর্মাহত ও শোকাহত।

এই বিষয়ে মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ভাতিজা (কাজী সালেহ আহমদ) অত্যন্ত নম্র ভদ্র ছিল। ওর বাবা ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করতো যার কারনে পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকতো। হঠাৎ এই ভাবে চলে যাওয়ায় আমরা নির্বাক হয়ে গেছি। সবাই ঢাকা গেছে ঐ খানে মানিকের (কাজী সালেহ আহমদ) দাফন হবে।

সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, রশি বেঁধে গাড়িটি উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভাঙা হয়। এরপর তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক এদের দুজন কে মৃত্য ঘোষণা করেন। কাজী সালেহ আহমদ এর দাফন ও জানাজা আজ দু পরের জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২২)