মংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র-যুদ্ধাপরাধী-জংগীবাদ মুক্ত আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগ দুর্বল হলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে। শক্ত ভিত্তির উপর সংগঠনকে দাঁড় করাতে হবে। ২০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মংলা উপজেলা ও পৌরসভা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি,এম মোজাম্মেল হক এমপি একথা বলেন।

শনিবার সকাল ১১ টায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ্ওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস আলী ইজারদার। সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোড়েলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ-ই-আলম বাচ্চু।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট-৩ ( মংলা-রামপাল ) এর সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহি সদস্য এস, এম কামাল হোসেন, বাগেরহাট জেলা সহ-সভাপতি এ্যাড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জেলা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাডঃ ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সরদার ফকরুল আলম, জেলা আইন বিষয়ক সম্পাদক এ, কে আজাদ ফিরোজ টিপু, জেলা দপ্তর সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান, জেলা প্রচার সম্পাদক নাজমুল কবির ঝিলাম, খুলনা সদর থানা সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম ও রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব। সম্মেলন পরিচালনা করেন উপজেলা আ্ওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিখিল চন্দ্র রায় ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সেখ আব্দুর রহমান। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের উপ-সম্পাদক শেখ আবু হানিফ, ব্যারিস্টার ওবায়েদ, ফকির সাইফুল ইসলাম, মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, তসলিম আহম্মেদ আশা, শফিকুর রহমান পলাশ, দেব দুলাল বাড়ই বাপী প্রমূখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেন, মংলা বন্দরকে গতিশীল করতে ইপিজেড করা হয়েছে, মংলায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করা হচ্ছে। বন্দরের জেটি সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে মংলা হবে টংগী শহর। আরেক বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল তার বক্তৃতায় বলেন শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতোনা, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার হতো না এবং দেশে গনতন্ত্র আসতো না। তাই ওরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু হয় এবং এর পরে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে শোক প্রস্তাব পাঠ ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিল অধিবেশনে সমঝোতার মাধ্যমে সুনিল কুমার বিশ্বাস সভাপতি ও মো. ইব্রাহিম হোসেন উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া পৌরসভা কমিটির সভাপতি হিসেবে মো. শাহাজান শিকারী এবং সাধারন সম্পাদক পদে বিনা প্রতদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সেখ আব্দুর রহমান বলে জানা যায়।

(এএইচএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪ )