দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা বলেন, জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ জন্মগ্রহণ ও মৃত্যুবরণ করলে ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। আইন অনুযায়ী এখন থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে এ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি তার মৃত্যুও নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

তিনি নতুন আইনে সবাইকে জন্ম ও মৃত্যুর দেড় মাসের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে বলেন। ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের বতর্মানে নিবন্ধনের জন্য ৭৫ টাকা করে ফি অথবা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০০৪ এর ১৮ ধারার উপ-ধারা (৩) অনুসারে কাজ করতে বলেন।

ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, (১৮ জানুয়ারি) মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় উপজেলার সম্মেলন কক্ষে সকল ইউপি চেয়ারম্যান, সচিব, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের নিয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অগ্রগতি করার লক্ষ্যে পর্যালোচনা সভার ফরিদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরো বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন-২০০৪ সংশোধিত ২০১৩ এর ধারা ৮ অনুসারে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু জন্ম নিবন্ধনের তুলনায় যথাসময়ে মৃত্যু নিবন্ধনের হার আশানুরূপ নয়। সকল ইউনিয়নের নাগরিকদের মৃত্যু নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুল আলম এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোন্দকার ইফতেখার মোহাম্মদ ইকু, অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী (বারী), মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদ মুন্সি, কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন, ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন, নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান মোস্তাক, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম, ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুন্নাহার মহিদ প্রমুখ।

এসময় সভায় ইউনিয়ন সচিব, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রশ্ন শুনে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা।

সভায় উপজেলা পরিষদের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, সচিব, ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(ডিসি/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২২)