কেন্দুয়া প্রতিনিধি : মেম্বার পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে হেরে হিন্দু পরিবারের ২ সদস্য কৃষ্ণরামপুর গ্রামের মৃত জিতেন্দ্র সরকারের ছেলে সুখরঞ্জন সরকার ও মৃত নিতিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে বিমল চন্দ্র সরকারের নিকট ৩ লাখ করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা  দাবী করেন, কাঞ্চন মিয়া নামের এক ব্যাক্তি। তিনি ওই দুইজনকে ৬ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় কৃষ্ণরামপুর বাজারে হুমকি দিয়ে বলেন যে, ৬ লাখ টাকা না দিলে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। তাছাড়া টাকা কিভাবে আদায় করতে হয় তা আমার জানা আছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশ কাঞ্চন মিয়াকে গ্রেফতার করে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে। 

গত ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হয়ে ৪৩ ভোটে পরাজিত হন কাঞ্চন। সিলিং ফ্যান প্রতীকে কাঞ্চন পান ৩০২ ভোট এবং একই গ্রামের বাবুল মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে পান ৩৪৫ ভোট। ভোটে পরাজিত হয়ে পরদিন সুখরঞ্জন ও বিমলকে এ হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনাটি আশুজিয়া ইউনিয়ন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কেন্দুয়া থানা পুলিশের এসআই কাকন মিয়া জানান, অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাঞ্চন মিয়া পুলিশকে জানান, ৬ লাখ টাকা না আমি ৩৬ হাজার টাকা দাবী করেছিলাম। আমি তাদের ২জনকে বলেছি নির্বাচন করছনা ঠিক আছে কিন্তু তোমার পিছনে ৩৬ হাজার টাকার মত খরচ হইয়ে এই টাকাডা আমাকে দিতে হবে।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, ৬ জানুয়ারী ঘটনাটি ঘটার পর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাটি মিমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিন্তু কাঞ্চন মিয়া তাতে রাজী হননি। যে কারণে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০২২)