অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : বছর খানেক আগে ভেঙে গেছে জোড়াদহ কলেজের সামনের সেতুটি। ভাঙাচোরা সেতুটি সংস্কার না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন ওই কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকার বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে গেছে ছোটবড় যান চলাচলও। এ অবস্থায় মাইলের পর মাইল হেঁটে কলেজে যেতে শিক্ষার্থীদের কষ্টের যেন শেষ নেই। দুর্ভোগ বেড়েছে অসুস্থ রোগীসহ সাধারণ পথচারীদেরও।

সংস্কারের অভাবে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদহ কলেজের সামনে সাধুহাটি-তৈলটুপি সড়কের ওপর সেতুটির অবস্থান। উপজেলা ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এ সড়কটিতে তিন ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষের চলাচল। সেতু দিয়ে কুষ্টিয়া জেলার সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ওপর ভাঙা সেতুর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে শত শত মানুষ। প্রতিদিন ছোটবড় দুর্ঘটনাও যেন এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। গত বছরের শুরুতেই সেতুটির একপাশের পাটাতন ভেঙে পড়ে যায় খালে। ভেঙে গেছে এক পাশের রেলিং। ঝুঁকি এড়াতে স্থানীয়রা ইটের খোয়া দিয়ে ভাঙা পাটাতন ভরাট করলেও তা কাজে আসছে না

উপজেলা এলজিউডি সূত্রে জানা গেছে, ৬০-৬৫ বছর আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী খোয়া ও বাঁশ দিয়ে সেতুটি কোনোরকমে চলাচলের উপযোগী করে। তবে এবার সেতুটির পাটাতন ভেঙে খালে পড়ে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

জোড়াদহ কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হোসেন বলেন, ভেড়াখালি গ্রাম থেকে কলেজের দূরত্ব তিন কিলোমিটার। আগে ভ্যানরিকশায় কলেজে যাতায়াত করতাম। সেতু ভেঙে পড়ার কারণে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হেঁটে কলেজে যেতে হয়। এতে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কলেজটির অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম জানান, সেতু ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনেকবার বলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেতু মেরামতের আশ্বাস দিলেও কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ বিষয়ে এলজিইডির সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণ হবে।

এলজিইডির ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রকৌশলী সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ১৮ মিটার এই ভাঙা সেতুটির পুনর্নির্মাণের জন্য বিশ্বব্যাংক ও জিওবির অর্থায়নে এলজিইডির সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজেস প্রকল্পে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত সেতু পুনর্নির্মাণ হবে বলে আশা করছি।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ২১, ২০২২)