মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরের চরজব্বরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রার্থীর ৪ জন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।

জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী তরিকুল ইসলামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ও আহতরা।

ফারুক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ছেউয়াখালী বাজারে নিজের সমর্থিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

সেখানে তাঁর পক্ষে বিশাল গণজমায়েত দেখে নৌকা মার্কার সমর্থিত প্রার্থী তরিকুল ইসলামের মন মেজাজ বিগড়ে যায়। এরপর তরিকুলের মদদে তার আপন ভাই দিদার ও ইউছুফের প্রকাশ্য ও প্রত্যক্ষ নেতৃর্ত্বে ভুইয়ার হাটে ফারুকের কর্মীদের ওপর প্রতিশোধ নেয়া হয়।

সরেজমিনে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক সমর্থিত কর্মীরা অভিযোগ করেন, তারা ছেউয়াখালী বাজার থেকে ফিরে চরহাসান ভুইয়ার হাট ফারুক সমর্থিত কার্যালয়ে বসে ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনা করাকালীন নৌকা মার্কার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের ইন্ধনে ও উস্কানীতে স্থানীয় নবী মেম্বার, ফজলু, মজনু, মিজান মাঝি, জামাল মাঝি, আলাউদ্দিন, হারুন মেস্তরী, জুয়েল, কাউছার, আমিনুল হক মুন্না মোহরা, ফিরোজ, রাসেল, রুবেল ও নিরব স্বতন্ত্র প্রার্থীর শান্তপ্রিয় কর্মীদের ওপর প্রাণঘাতি হামলা চালায়।

একপর্যায়ে, নৌকার মার্কার সমর্থিত উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা ফারুকের কার্যালয়ের ভেতরে ডুৃকে চেয়ার, টেবিল ও সাইন্ড বক্স এলোমোলে করে চরম সন্ত্রাসী ও উচ্ছৃঙ্খলার প্রকাশ ঘটায়। এসময় এ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের কর্মী ইসলাম রবি (২৩), মেহরাজ (২৫), আলাউদ্দিন (২৮) ও সহিদ (৩৫) গুরুতর আহত হয়েছে।

ঘটনায় হামলাকারীরা আহতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ লুটসহ একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করার অভিযোগ করেন রবি। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় ব্যাবসায়ী জমির উদ্দিন বলেন, অহেতুকভাবে নুরনবী মেম্বারের ভাই ফারুকের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ আমার ওপর চড়াও হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি পিটায়, এবং আমার হোন্ডা ভাংচুর করে, আমার গায়ের শাল এবং পকেটে থাকা ৩২ হাজার টাকা নিয়ে যায়, আমি জীবন বাঁচাতে ফারুকের অফিসে আশ্রয় নিলে সেখানেও তারা আমাকে মেওে পেলার জন্য হামলা চালায় পওে আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করি, এখনো তারা আমাকে গুম খুনের হুমকি দিচ্ছে এবং আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়। তাদের আতংকে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।

তবে এ বিষয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় নবী মেম্বারের সাথে আরেকজন মেম্বারের ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে শুনেছি। এর সাথে আমার কেউ জড়িত নেই।

এ বিষয়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, আামি শুনেছি। তবে, কেউ লিখিতভাবে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট ওমর ফারুক আমাকে ফোনে অভিযোগ করেছেন।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০২২)