আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মহামারি সত্ত্বেও ফিলিপাইনের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটির অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রসারিত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছরে দেশটির অর্থনীতি আরও বেশি ত্বরান্বিত হবে। যদিও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ও মূল্যস্ফীতি প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয় সাত দশমিক সাত শতাংশ। যা আগের প্রান্তিকে ছিল ছয় দশমিক নয় শতাংশ। তবে রয়টার্সের পূর্বাভাস ছিল শেষ প্রান্তিকে দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক শূন্য শতাংশ।

ফিলিপাইন সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পুরো বছরে পাঁচ দশমিক শূন্য থেকে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। তবে সরকারের সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ। বড় দিনের উৎসবকে সামনে রেখে ব্যাপক ব্যয় করেছে দেশটির ভোক্তারা। যা লক্ষ্যমাত্রাকে ছড়িয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ২০২০ সালে দীর্ঘ লকডাউনে দেশটির প্রবৃদ্ধি মারাত্মকভাবে সংকোচন হয়।

দেশটির আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনা সচিব কার্ল কেনড্রিক চুয়া বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দরজা এখন পুরোপুরি উন্মুক্ত ও আমরা সঠিক পথেই আছি। এ বছর প্রবৃদ্ধ আরও বাড়বে বলেও পূর্বাভাস দেন তিনি। গৃহস্থালির ব্যবহার বৃদ্ধি প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে।

তবে তিনি সতর্ক করে আরও বলেন, করোনার নতুন ধরনের কারণে অর্থনীতি এখন ঝুঁকি মুক্ত নয়। মূল্যস্ফীতির চাপের কারণে তেল ও কিছু খাবারের দাম বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০২২)