বরিশাল প্রতিনিধি : কারচুপি আর অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে বরিশালের  মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন। সর্বোচ্চ সংখ্যক পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলেও আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী এ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদের সমর্থকরা দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারতে দেখা গেছে।

বরিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের ২ ঘন্টা পেড়ানোর পরই প্রথমে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এরপর পর্যায়ক্রমে অপর দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রশাসনের নীরাবতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেন। ভোটারদের উপস্থিতি কম এমটা স্বীকার করেছেন রিটানিং অফিসার ও জেলা নির্বচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার। তবে কারচুপির বা অীনয়মের বিষয়ে কোন প্রার্থী তার কাছে অভিযোগ করেননি বলে জানান।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সৈয়দ আনোয়া হোসেন লাবু অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আগের দিন সন্ধ্যার পর থেকেই আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদের কর্মী সমর্থকরা ভাসানচর এবং দরিচর খাজুরিয়া ইউনিয়নে তার দুই কর্মীকে মারধর এবং ভোটরদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছেন। যার প্রভাবে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা সদর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট কারচুপির সময় জনতা বাঁধা দিলে পাল্টা ধাওয়া হয়েছিল। এই বিদ্যালয়ের কাছেই সেনা ক্যাম্প থাকলে তারা কোন ভূমিকা রাখেনি। অপরদিকে ভাসানচরেও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের সাথে। প্রশাসন নিরব থাকায় এবং ভোটের পরিবেশ নেই বলে তিনি সকাল দশটায় সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জন করেছেন। এরপর আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেজর (অব.) নাসির উদ্দিন খান, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম ওয়াহীদ হারুন ভোট বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেন।

পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, দুটি কেন্দ্রে হাঙ্গামার খবর পেয়ে তিনি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করেছিলেন। এছাড়া আর কোথায়ও বড় ধরণের সমস্যা হয়নি। রিটানিং অফিসার মো. দুলাল তালুকদার জানান, বিকেল ৩টা পর্যন্ত কিছু কিছু কেন্দ্রে ৫০ ভাগের মত ভোট পড়েছে বলে তাকে মোবাইলে জানিয়েছেন। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আর মোবাইল নেটওয়ার্কে সমস্যার কারণে অন্য কেন্দ্রগুলোয় ভোটের গড় তিনি জানাতে পারছেনা না। আর প্রার্থীরা বিকেল সাড়ে তিনটার সময় পর্যন্ত কারচুপি বা অনিয়মের কোন অভিযোগ তার কাছে করেননি বলে জানান।

(বিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪)