বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে দুদিন ধরে লাগাতার বর্ষনে জেলার ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আমনের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কয়েক’শ মাছের ঘের ও পুকুর। মংলা বন্দরে ৩নং সংকেতের মধ্যে বন্দরে পন্য ওঠা-নামা ব্যাহত হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগসহ উপকূলে বৈরী আবহাওয়ার কারনে ইলিশ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে। উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে ট্রলার নিয়ে কূলে ফিরে এসেছেন জেলেরা। কয়েক হাজার মাছধরা ট্রলার পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী, সুপতি, উপর্কূলবর্তী পাথরঘাটা, মহিপুর, চরদুয়ানী ও শরণখোলার বিভিন্ন নদীখালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জানান, একদিকে সাগরে ইলিশ না পড়া,অন্যদিকে বনদস্যুদের চাঁদার মেটাতে গিয়ে এবছর জেলে-মহাজনরা নিঃশ্ব হয়ে গেছে। তার উপর সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা ইলিশ আহরণ বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল আহমেদ জানান, সাগর এখন চরম অশান্ত। ৩ নম্বর সিগনালের খবর শুনেই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জেলেরা কূলে ফিরতে শুরু করে। সুন্দরবনের সুপতি ও কচিখালী এলাকায় কয়েক শ’ ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে। বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

এদিকে, গত দুদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাতে বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা, দক্ষিণ সাউথখালী, উত্তর সাউথখালী, বগী, সাতঘর ও সোনাতলা গ্রামসহ বেড়িবাধের বাইরে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তার এলাকার শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। আমনের ক্ষেত এখন পানির নিচে।

রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন জানান, উপজেলা সদরের খাদ্য গুদাম এলাকা, পাঁচরাস্তা, টিএন্ডটি, পোস্ট অফিস, রায়েন্দা বাজার পূর্ব মাথা ও পুরান পোস্ট অফিস এলাকায় বৃষ্টির পানি আটকে প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রভাবশালী ও সরকারের কতিপয় কর্তাব্যক্তি অপরিকল্পিতভাবে জলাধার ভরাট করে মার্কেট ও বাড়িঘর নির্মাণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৪)