এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সম্মেলনের পর সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরসরেই চলছিল। সেই সাথে তূনমূল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বেশ উজ্জীবিতও ছিল। কিন্তু বেশিদূর আর এগুতে পারেনি বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে পূনাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়েছে নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা।

অপরদিকে, আওয়ামী লীগের হালচাল দেখে রাজনৈতিক ময়দানে চাঙা হচ্ছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। ইতোমধ্যে যার প্রতিফলন দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ব্যাপকভাবে ভরাডুবি হয় নৌকার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের।

এদিকে, সদর-বন্দর সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির এমপি রয়েছে সেলিম ওসমান। তিনি উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে বন্দরে আওয়ামী লীগ তেমন ঘুরে দাড়াতে পারছে না। দিনদিন উজ্জীবিত হচ্ছে জাতীয় পার্টি এর পাশাপাশি রাজনৈতিক এবং ভোটের মাঠও দখল করে রেখেছে বিএনপি। গেলো গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বন্দরে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবি হয়। শুধু একটিতে জয় পেলেও বাকী তিনটিতে সেলিম ওসমানের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়লাভ করেন। এবং ধামগড় ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে জয়লাভ করেন।

গত ১৬ ই জানুয়ারি সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর এ নির্বাচনেও বন্দরে ৯টি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ৫টিতে জয় পেয়েছে বিএনপি। তারা হলেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে শাহেনশাহ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান আহমেদ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল কাউসার আশা, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এনায়েত হোসেন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সামসুজ্জোহা ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টিতে থেকে আফজাল নির্বাচিত হয়েছেন।

(এমও/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২)