ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে ডক্টরস ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গত বৃহস্পতিবার মামলা করা হলেও গণমাধ্যমে পুলিশের পক্ষ থেকে রবিবার দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় ডা. কাজী হামিদুন্নেছা পাখিসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তিনজন জেলহাজতে রয়েছেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার স্বামী জুয়েল হোসেন ও স্ত্রী নাসরিন খাতুন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে এসে মৃত্যুবরণ করেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, ঝিনাইদহ শহরের উপজেলা পরিষদ সড়কের ডক্টরস ক্লিনিকে মাগুরা সদরের বগুড়া গ্রামের ঝন্টু ফকিরের ছেলে জুয়েল হোসেন ও তার স্ত্রী নাসরিন খাতুন চিকিৎসা নিতে আসে। সিমেন পরীক্ষা করার জন্য একটি কক্ষে ঢোকানোর দুই ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ মামলায় ক্লিনিকটির মালিক ডা. কাজী হামিদুন্নেছা পাখিকে প্রধান করে প্যাথলজি বিভাগের ম্যানেজার কাজী রাশিদুন্নেছা শিউলী, নার্স রওশানা ও ওয়ার্ড বয় কলিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।

দম্পতির মৃত্যুর দিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।

মামলার তদন্তকারী অফিসার আনিচুজ্জামান রবিবার দুপুরে জানান, মামলার পর থেকে ডা. হামিদুন্নেছা পাখি পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)