এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : দীর্ঘদিন যাবত নেই কোন নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। যার ফলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে যুবলীগের এই কমিটি। সেই সাথে নেতৃত্ব শূন্যতায় স্থবির হয়ে আছে সংগঠনটির কার্যক্রম। এতে ত্যাগী ও পরীক্ষিতরা হচ্ছেন বঞ্চিত, এমনটাই অভিযোগ বন্দরে যুবলীগের নেতাকর্মীদের।

সূত্র মতে, বিগত ২০০৩ সালের ১৬ই মার্চ এড. হাবিব আল মোজাহিদ পলুকে সভাপতি ও খন্দকার হাতেমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বন্দর থানা যুবলীগের কমিটির অনুমোদন দেন জেলা যুবলীগের দায়িত্বে থাকা সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। কিন্তু দুই বছর মেয়াদকালের যুবলীগের কমিটির বয়স এখন ১৯ বছর। এই কমিটির বর্তমানে নেই কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম।

এদিকে, বন্দর থানা যুবলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্টি কমিটির অর্ধেকের চেয়েও বেশি নেতাদের কোন হদিস নেই এখন দলে। দীর্ঘ এই সময়ে পরিবর্তন হয়েছে এই কমিটির নেতাদের অনেকের নাম-ঠিকানাও। কেউ আবার যুবলীগের অন্য ইউনিটের কমিটিতে। বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন আরও অনেকেই। আবার মারাও গেছে কয়েকজন। এভাবেই অর্ধেকেরও বেশী সদস্যই অস্তিত্বহীন বন্দর থানা যুবলীগ কমিটিতে। তবে লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন বন্দর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম।

অপরদিকে, বন্দর থানা যুবলীগের নেতৃত্ব শূন্যতা হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে তৃনমূলে। ফলে তরুণ নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের নিয়ে নতুন করে যুবলীগের কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন তূনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

(এমও/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২)