দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। “সৃজনশীল কোচিং সেন্টার” নামের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর অভিযোগ দায়েরের ৩ দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি এখনও। এ নিয়ে সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সঙ্গে সৃজনশীল কোচিং সেন্টারে কোচিং করার সময় ওই কোচিংয়ের লম্পট শিক্ষক রশিদুল ইসলাম জনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলাভনে ফেলে সে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে ওই ছাত্রী বিয়ের কথা বললে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা শুরু করে জনি। পরে ঘটনাটি তার পরিবারের লোকজনদের অবগত করে ওই ছাত্রী। ছাত্রীর অভিভাবকরা বিষয়টি সৃজনশীল কোচিং সেন্টারের কর্তৃপক্ষকে জানালে জনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে জানায়। কিন্তু পরে তা অস্বীকার করে।

জানা যায়, শিক্ষক জনি মোটা অর্থের বিনিময়ে হাত করে নেয় কোচিং সেন্টারের পরিচালক মানিক, শিক্ষক আব্দুল হামিদ ও সোহাগকে। কোচিং সেন্টারের পরিচালক, ধর্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বাড়াবাড়ি না করার জন্য ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবককে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করতে থাকে। অসহায় ওই ছাত্রী স্থানীয়ভাবে কোন সুরাহা না পেয়ে নিজে বাদী হয়ে ধর্ষক জনিকে প্রধান আসামী করে সহযোগী আসামী হিসেবে কোচিংয়ের পরিচালকসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় শুক্রবার একটি এজাহার দাখিল করে।

এজাহার দাখিলের পর আসামী পক্ষের লোকজন ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ অবস্থায় চরম শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে পরিবারটি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় এ বিষয়ে মামলা রেকর্ড হয়নি।

এ ব্যাপারে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আনিসুর রহমান জানান, তদন্ত চলছে। এখনও মামলা দায়ের হয়নি। সময় হলেই মামলা দায়ের করা হবে।

(এসএএস/এনডি/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)