রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন বৃহষ্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরা পৌরসভা পরিদর্শণ শেষে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব শেষে সাতক্ষীরা সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী নাজিমউদ্দিনসহ পৌরসভার নারী ও পুরুষ কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় কমিশনার সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চান।

মতবিনিময় সভা শেষে পৌরসভা চত্বরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পৌর মেয়র কাউন্সিলরদের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এবং পৌর কাউন্সিলররা মেয়রের বিরুদ্বে অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এটা তার জানা নেই। তিনি শুধু মাত্র পরিদর্শণে এসেছেন। পৌরসভার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেছেন। তবে যেহেতু দূর্ণীতির বিষয়টি পাল্টাপাল্টি উঠে এসেছে সেক্ষেত্রে তিনি খোঁজখবর নিয়ে সামগ্রিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।

একইভাবে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী পানির বিল বাকী থাকলে তারা অন্যান্য নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে নাগরিক সুবিধা পাওয়ার ন্যয্য অধিকার যেমন রয়েছে তেমনি পৌরসভার প্রাপ্য পরিশোধ করাটাও সাধারণ নাগরিকের কর্তব্য। সেকারণে বিষয়টি উভয়পক্ষকেই দেখতে হবে। তবে পানিরে বিল না দেওয়ার জন্য অন্য নাগরিক সেবা থেকে জনগণকে বঞ্চিত করাটা ঠিক হবে না।

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষনা দিয়েছেন সেজন্য সাতক্ষীরার ভোমরা বন্ধরের আধুনিকীকরণ, চিংড়ি, আম, কুল, গ্রীষ্মকালিন টমেটোর প্রসেসিং ও বাজারজাত করণ এর উপর জোর দিতে হবে। সাতক্ষীরাকে একটি বিশেষ জেলা হিসেবে তুলে ধরতে উন্নয়নমুখী কাজ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও ক্রীড়াঙ্গণকে ঢেলে সাজাতে হবে। সুন্দরবনকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী এ জন্য নদী ও খাল খনন, মজবুত ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাষাবাদসহ বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নিয়েছেন।

এরপর তিনি সাতক্ষীরা সদর সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও পৌর ভূমি অফিস পরিদর্শণ শেষে নামজারির জটিলতা, কাজ না করে জনগনকে হয়রানি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২)