গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শত্রুতারও কিছু ধরণ থাকে!  কিন্তু এ কেমন শত্রুতা? রাতের আঁধারে বাড়ির উঠোন, ঘরের দরজা ও দেয়ালে স্তুপীকৃত আকারে মলমূত্র এভাবে কি কেউ ছিটিয়ে দিতে পারে? এ ঘটনার পর বাড়িটাতে মানুষের বসবাস করাটাই এখন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এর কঠোর বিচার হওয়া দরকার।'

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ভোলাচং গ্রামে দেবাশীষ সাহার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে নোযরাভাবে মলমূত্র (মানববিষ্টা) ছিটিয়ে দেয়ার পর নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস দৈনিক বাংলা ৭১ এর কাছে এভাবেই তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছিলেন।

শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী দেবাশীষ সাহা (৫০) মেয়রের বাড়িতে এসে ঘটনাটি জানিয়ে এর প্রতিকার চাইলে মেয়র এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নবীনগর থানার পুলিশকে অনুরোধ করেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে নবীনগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নূরে আলমের সাথে কথা বললে, তিনি বাংলা ৭১ কে জানান'ঘটনাস্থলে এখনই পুলিশ পাঠাচ্ছি। তদন্তপূর্বক এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার ভোলাচং হাইস্কুল সংলগ্ন কুমার পাড়ার দীনেশ মাস্টারের বাড়ি খ্যাত স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী দেবাশীষ সাহার ছোট মেয়ের বিয়ে আগামি সপ্তাহে। ঠিক এ অবস্থায় গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা এ জঘন্য ঘটনাটি ঘটায়।

গৃহকর্তা দেবাশীষ সাহা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, এর আগেও কয়েকবার বাড়ির উঠোন ও দরজার সামনে দুর্বৃত্তরা এভাবে মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়ে গেছে। কিন্তু এবার মেয়ের বিয়ের প্রাক্কালে আবারও এমন জঘন্য ঘটনায় তার গোটা পরিবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।

পুত্র সন্তানহীন দুই কন্যার জনক ভুক্তভোগী দেবাশীষ জানান, দুর্বৃত্তরের দেয়া মলমূত্রে ঘরের দেয়াল, সিঁড়ির কোঠা, দরজার হাতল এমনকি বাথরুমের দরজায়ও মারাত্মকভাবে লেপ্টে গেছে।

এলাকাবাসির অভিযোগ, মাদকাসক্ত চিহ্ণিত নেশাগ্রস্তরাই বারবার অসহায় এই হিন্দু পরিবারটির প্রতি এমন বিকৃত মানসিকতার নিকৃষ্ট কাজ করছে। এতে হিন্দু পরিবারটি এখন আতংকিত হয়ে পড়েছে। তাই পুলিশের উচিৎ এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।

এ বিষয়ে নবীনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন দৈনিক বাংলা ৭১ কে বলেন, 'ঘটনাটি খুবই দু:খজনক। আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।'

(জিডিএ/এএস/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২)