রায়পুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃদ্ধা গীতা রানী পালকে (৭২) হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশের উর্ধ্বত্বন কয়েকজন কর্মকর্তা। খুনিদের চি‎হ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

এ ঘটনায় নিহতের পুত্র বিপ্লব বিহারী পাল বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে রায়পুর থানায় মামলা করেছেন।
তবে কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা ঘটনার চারদিন পরও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতেই বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

মামলার বাদি বিপ্লব বিহারী পাল বলেন, আমরা কর্মস্থলে চট্টগ্রাম থাকায় বাবা-মা দুজনেই গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। ঘটনার দিন দুপুরে ভবনের ভেতরের কক্ষে মা ও সামনের কক্ষে সোফায় বাবা ঘুমিয়ে পড়েন। বিকালে জাগাতে গিয়ে মাকে মৃত অবস্থায় দেখেন বাবা। অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত আমার মাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে র্স্বণালংকার নিয়ে যায়। ওইসময় ভবনের একটি দরজা খোলা পাওয়া যায়।

মায়ের কপালে, কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অন্য একটি বালিশে সিদুরের দাগ রয়েছে। এ কারণে আমাদের ধারণা বালিশ চাপা দিয়েই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকারের জন্যই আমার মাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আমরা আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, এখনো হত্যার সাথে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। গতকাল শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ ও মংনে থোয়াই মারমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, হত্যা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি নিহতের পরিবার ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

(পিকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২)