এম এ হীরা, গোয়ালন্দ : রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় সূর্যমুখি ফুলের বাম্পার ফলন হয়েছে। সূর্য মুখি ফুলের এমন অপূর্ব সুন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটে আসছেন পরিবার নিয়ে।খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন এলাকা নতুন সার ফ্যাক্টরির পাশে সূর্যমুখী ফুলের বাগান টি দেখতে।

এ বছরে গোয়ালন্দ উপজেলায় প্রায় দেড়শ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের রাজস্ব খাতে কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগীতা দেয়া হয়েছে। চাষিরা গত ১ ডিসেম্বর বিজ রোপন করেন। এরপর তিনমাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটার পর বাগানগুলো অপরূপ সুন্দর্য ধারন করেছে। অপূর্ব সুন্দর ও মনমুগ্ধ কর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমিরা তাদের পরিবার নিয়ে ছুটে আসছেন বাগানের সুন্দর্য উপভোগ করতে।

বাগান দেখতে আসা প্রকৃতি প্রেমিকরা বলেন, এই এলাকায় সূর্যমুখী ফুলের চাষের খবরটি ফেইসবুকে দেখেছি। আজ পরিবার নিয়ে দেখতে এসেছি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে।

সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মালিক ইউসুফ আলী, শাহজাহান জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের অনুপ্রেরণা থেকেই এই অঞ্চলে সূর্যমুখি ফুলের চাষ শুরু করেছি।

কৃষকেরা আরো জানান, সরকারীভাবে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী ফুলের বীজ, সার ও ওষুধ দিয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার প্রত্যাশা করছি। ফলনের ন্যায্য মূল্য পেলে আমাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে এবং আমাদের মতো আরো কৃষক সূর্যমুখি চাষে আরো আগ্রহ হবেন।

সূর্যমুখী ফুলের তেল স্বাস্থ্য সম্মত ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোগের ব্যাপক উপকারিতার কথা জানিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলায় সরকারি প্রণোদনায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করার জন্য কৃষকদেরকে বিজ, সার ও প্রয়োজনীয় কিটনাশক দেওয়া হয়েছে।এ বছরে উপজেলায় প্রায় দেড়শ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি সফল হলে আগামী বছর আরো ব্যাপক আকারে সূর্যমুখী ফুলের চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে এবং কৃষকরা যেন ন্যায্য মূল্য পায় সে দিকটি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভোজ্য তেল বেশির ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, দেশে যদি এই সূর্যমুখী প্রকল্প সফলতা পায় তা হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে আমরা এই তেল বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো বলে আশা করছি।

(এইচ/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২)