স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির পশুর শরীর পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরীর কোরবানির হাটে চিকিৎসক নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছে।

কোরবানির পশুর শরীরে মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো উপাদান আছে কিনা তা জানতে চিকিৎক নিয়োগের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

চলতি বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন হাটে নিয়োগ চিকিৎসকরা এ পরীক্ষা করবেন।

একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

রিট আবেদনে ক্ষতিকর ওষুধের মাধ্যমে মোটাতাজাকরণ পশু কোরবানির হাটে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়াও মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নীতিমালা তৈরির জন্য ৭ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আবেদনে মাত্রারিতিক্ত মোটাতাজাকরণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ ওষুধ ব্যবহার বন্ধে কার্যকর নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

মনজিল মোরসেদের দাবি, স্বল্পমূল্যে রুগ্ন ও অসুস্থ গরু কিনে বাড়িতে ২ থেকে ৩ মাস বেঁধে রেখে অধিক লাভের আশায় ভারতীয় পারকোটিন, থাইল্যান্ডের মাইকোডিন ও ডেক্সাউইনের পাশাপাশি ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা স্বল্পমূল্যের ট্যাবলেট গবাদিপশুকে খাওয়ানো হচ্ছে।

সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও প্রশাসনের দুর্বল নজরদারির কারণে উপজেলার খামারিরা দুর্বল ও রোগগ্রস্ত গবাদিপশুকে এসব ট্যাবলেট খাওনো চালিয়ে যাচ্ছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)