নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে শিম চাষে সাফল্য পেয়ে হাসি ফিরেছে কৃষকের মুখে। শিমের ভালো ফলনের পাশাপাশি স্থানীয় হাট-বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার প্রান্তিক শিম চাষিদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এর অধিক পরিমাণ জমিতে শিম চাষ হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়। 

সোমবার দুপুরে কথা হয় উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের প্রান্তিক শিম চাষি নয়ন চন্দ্র মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, তার মাত্র আড়াই বিঘা জমি রয়েছে। এ পরিমাণ জমিতে কয়েক বছর আগেও শুধু ধান চাষ হতো। শুধুমাত্র ধান চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। করতে হতো ধার-দেনা।

কৃষক নয়ন জানান, ধান চাষের পাশাপাশি গত দু"বছর আগে তার এই ৮ শতক জমিতে শিমসহ অন্যান্য শব্জি চাষ শুরু করেন। চলতি মৌসুমে এই জমিতে শিম চাষে বালাই নাশক ও শ্রমিক বাবদ সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ৮ শতক জমি থেকে প্রতি মাসে শিম বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। স্বল্প খরচে প্রতি মাসে ওই জমি থেকে উল্লেখিত টাকা পাওয়ায় পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরেছে তার। শিমের ফলন ভালোসহ হাটে-বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় উপজেলার এ ফসল চাষিদের মুখে ফিরেছে হাসি।অধিক লাভ জনক এ ফসল চাষে এলাকার কৃষকরা হচ্ছে উদ্বুদ্ধ। তবে সরকারের কৃষি প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক শিম চাষি নয়ন চন্দ্র মন্ডলের অভিযোগ তিনি শব্জী চাষে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিলেও তাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি প্রণোদনাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় না।

প্রান্তিক চাষি নয়ন চন্দ্র মন্ডল কৃষি প্রণোদনা না পেয়ে থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর জমিতে শিম চাষে লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

(বিএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২)