নওগাঁ প্রতিনিধি : গত ৩ দিনে একটানা বর্ষণে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ জরাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উঠতি আমন ধানের ক্ষেতসহ হাজার হাজার একর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। কমপক্ষে ২ শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।  এই পানি অচিরে নেমে না গেলে কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে।

জানা গেছে, শনিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত টানা বর্ষনে জেলা সদরের এটিম মাঠের সামনে প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া কালিতলা শিতলা মন্দিরের সামনে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে পথচারীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ডুবে গেছে অন্তত ২ শতাধিক পুকুর। ওইসব পুকুরে ছেড়ে দেয়া অন্তত অর্ধ কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষেত, নদীনালা, পুকুর-ডোবা ও বসতবাড়ি হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে একটানা বর্ষণের ফলে সোমবার জেলার ধামইরহাট উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বর, ধামইরহাট বালিকা বিদ্যালয় পাড়া, টিএন্ডটি এলাকার রাস্তাঘাটের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। বিশেষ করে ধামইরহাট থানা ভবনের উত্তরে বালিকা বিদ্যালয় পাড়ার রাস্তার ওপর কোমর পানিতে তলিয়ে যায় । ওই এলাকার বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে। ধামইরহাট, আগ্রাদ্বিগুন, আলমপুর, উমার, আড়ানগর, জাহানপুর, ইসবপুর, খেলনা ইউনিয়নের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকা গত ৩ দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

এতে ওইসব এলাকার শাকসবজি ও শত শত একর রোপা আমন ধান পানিতে তলিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য ঘের ও শত শত পুকুর প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার শিমুলতলী তকীউদ্দীন পার্সী মাহীসন্তোষ সেতু, ঘুকসী নদী, চিরি নদী, ছোট যমুনা নদী, কলকলীখাড়ী, টুটিকাটা খাড়ি ও মড়লই খাড়ীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংক কর্মকর্তা নবিবুর রহমান বলেন, এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া ও দির্ঘদিন যাবত সেগুলো সংস্কার না করা এবং অধিকাংশ কালভার্টগুলো ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরীর ফলে পানি বের হতে না পারায় এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)