কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ১২ ঘন্টা অন্ধকারে সমুদ্র উপজেলা কলাপাড়া ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। সোমবার সকাল ছয়টায় কোন ঝড়,বৃষ্টি না হলেও হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বিপাকে পড়ে কলাপাড়ার শতশত মিল-কারখানার মালিকসহ আলীপুর-মহীপুরের বরফকল মালিকরা। কোন ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক লোডশেডিংয়ের কারনে বরফ উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় ইলিশের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে মৎস্য ব্যবসায়ী ও ট্রলার মালিকরা।

বরফ উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে অন্তত তিন শতাধিক ট্রলার বরফ না পেয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যেতে পারেনি। একইভাবে বরফের অভাবে মৎস্য প্রক্রিয়া ও প্যাকেটজাত করতে না পারায় অন্তত অর্ধশতাধিক ট্রাক ও পিকআপ আলীপুর, মহীপুর ও কুয়াকাটায় অবস্থান নেয়। অনেক মৎস্য ব্যবসায়ী বরফের অভাবে কম মূল্যে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

ট্রলার মালিক আলাউদ্দিন হোসেন জানান, ১১ জেলে নিয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত গঙ্গামতিতে ট্রলার ভিরিয়ে রাখলেও বরফ না পাওয়ায় ট্রলার সাগরে যেতে পারেনি। তার অন্তত ২০ ক্যান বরফ দরকার ছিলো। একইভাবে এই ঘাটে অর্ধশতাধিক ট্রলার সাগরে যাত্রা করতে পারেনি। তাদের মতো মৎস্য ব্যবসায়ীরাও মাছ রফতানি করতে পারেনি বরফের অভাবে।

একাধিক বরফ কল মালিক জানান, বরফ উৎপাদন হতে ১০/১২ ঘন্টা সময় দরকার। কিন্তু একটানা লোডশেডিংয়ের কারনে মিলে উৎপাদিত বরফও গলে গেছে। এ কারনে অনেক ট্রলার দুপুরে পাথরঘাটা থেকে বরফ আনার জন্য আলীপুর-মহীপুর ঘাট ছেড়ে গেছে।

কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম গবিন্দ চন্দ্র জানান, সোমবার সকালে পটুয়াখালী-কলাপাড়া ৩৩ কেভি বিদ্যু সঞ্চালন লাইনে হঠাৎ সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটে। তবে সন্ধার মধ্যে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত(বিকাল পাঁচটা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

(এমকেআর/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)