শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সোনারগাঁ : বাংলার প্রাচীন রাজধানী ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব ২০২২ এর এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড.আহমেদ উল্লাহ'র সভাপতিত্বে ফাউন্ডেশনের লাইব্রেরি ভবনের সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তাফা মুন্না, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সি, সোনারগাঁ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সাইদুল ইসলাম।

নতুন প্রজন্মের কাছে লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পরিচিতি ও মেলবন্ধনের প্রয়াসে প্রতিবছর ১৪ জানুয়ারিতে শুরু হলেও মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর তা পিছিয়ে ১ মার্চ ২০২১ খ্রিস্টাব্দ থেকে শুরু হয়। এবছর একই কারণে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ খ্রিস্টাব্দ বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের আয়োজনে লোকজ উৎসব ও কারুশিল্প মেলা শুরু হবে। মাসব্যাপী এই মেলা ও লোকজ উৎসবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দুরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করার বিধি নিষেধ থাকবে।

মতবিনিময় সভায় দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্পমেলা ও লোকজ উৎসব চলাকালীন আইন-শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং লোকজ উৎসবের অনুষ্ঠানমালা বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজনের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়। মতবিনিময় সভায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম, ডিসপ্লে অফিসার একেএম আজাদ সরকার, সোনারগাঁও জার্নালিষ্ট ক্লাবের সভাপতি শেখ এনামূল হক বিদ্যুৎ, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন, নুরনবী জনি, রবিউল হোসেনসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।

এবার মেলায় কর্মরত কারুশিল্প প্রদর্শনীতে ২৪ স্টলসহ মোট ১ শত স্টল থাকবে। এতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথিতযশা ৪৮ জন কারুশিল্প সক্রিয়ভাবে অংশ নিবেন। লোকজ উৎসব ও কারুশিল্পমেলা ২০২২ এর অনুষ্ঠানমালায় থাকবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালীগান, জারি-সারিগান, হাসন রাজার গান, লালন সঙ্গীত, মুর্শিদীগান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদেরগান, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতী গান, লোক কবিতা পাঠের আসর, পুঁথিপাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, ভালোবাসার তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের প্রদর্শনী, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়স্কোপ, চর্যাগীতি, সেমিনার আয়োজন, লোকগল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি।

(এসএএইচবি/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২)