রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটায় গোয়েন্দা পুলিশ সেঁজে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে র‌্যাব এর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের এক এসআই, একজন পৌর কাউন্সিলরসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে দু’দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ ব্চিারিক হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলাম বুধবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবলুর রহমান খানের সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন শুনারী শেষে এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

রিমাণ্ড মঞ্জুর হওয়া আসামীরা হলেন যশোর পুলিশ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন(৪০), যশোরের চৌগাছা পৌরসভার কাউন্সির চৌগাছা গ্রামের মগরেব আলীর ছেলে মোস্তফা বিশ^াস (৪৬), একই গ্রামের সিরাজ গাজীর ছেলে মাহাবুববর রহমান (২৭), যশোর শহরের বেজপাড়ার গৌর শীলের ছেলে সুজন শীল (২৯)ও একই জেলা শহরের কাজীপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪২)।

মামলার বিবরনে জানা যায়,আসামীরা দীর্ঘদিন গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সড়ক-মহাসড়কে ছিনতাই করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তারা ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা হারুণ-অর-রশিদ কলেজের পাশে অবস্থান নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা তাদেরকে একটি প্র্ইাভেট কারসহ ওই পাঁচজনকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ১টি প্রাইভেটকার, ১টি মোটরসাইকেল, ১টি খেলনা পিস্তল, ২টি পিস্তলের কভার, ১টি অকিটকি সেট, ২টি গোয়েন্দা পুলিশের কটি, ২টি হ্যান্ডক্যাপ, ২টি পুলিশ ফিল্ডক্যাপ,১টি পুলিশ বেল্ট, ১টি গোয়েন্দা পুলিশের ভূয়া আইডিকার্ড ও ১টি পিস্তল বাঁধার চেইন।।

এ ঘটনায় পরদিন খুলনা র‌্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা শাখার নায়েক সুবেদার আব্দুর রহিম বাদি হয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবলুর রহমান খান আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাত দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে বিচারক রাকিবুল ইসলাম তাদের দু’দিনেসর রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক বাবলুর রহমান খান জানান, বুধবার বিকেলে আসামীদের আদালত থেকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২)