সৈমন্তী : অভ্র’র টিবি, হেপাটাইটিস বি, ব্রেইন হেমারেজে সনাক্ত করা হয়েছে, ডাক্তারদের সাথে কথা বলে তার পরিচিতজন যা জানিয়েছেন তা হল ডাক্তাররা অপারগতা জানিয়ে দিয়েছেন, তার মানে তারা আর কোনরকম চিকিৎসা দিতে পারছেন না ।

শুধুমাত্র ওর নিঃশ্বাস নেয়ার খরচ পড়ছে ওষুধসহ দিনে ১০-১২ হাজার টাকা। অভ্রর মায়ের হাতে কোন টাকা নেই। সোমবার পর্যন্ত ৪৮ হাজার টাকা তাকে তুলে দেয়া হয়েছে, চেন্নাই পাঠানোর আগে ঢাকায় পিজি হাসপাতাালে নেয়া দরকার । কারণ চেন্নাই যাওয়ার মত শারীরিক সক্ষমতা তার এখন নেই । পিজিতে নেয়ার মত আপাতত লাগবে ৩ লাখ টাকা।

রোটারি ক্লাব থেকে দেখতে আসার কথা, দেখে জানাবে যে তারা কিভাবে সাহায্য করবে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে তাকে রাখা হয়েছে। উপযুক্ত চিকিৎসাতো দূরে থাক, বলতে গেলে সে কোন চিকিৎসা ছাড়াই ওখানে নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। ইনজেকশন আর অক্সিজেনের সুবিধা টুকুর জন্য শুধু। টাকা জোগাড় করতে না পারলে ছেলেটা বোধ হয় বাঁচবে না। সবাই এগিয়ে এলে কৃতি কারাতেবিদ অভ্রকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব। একটা জীবনের বিনিময়ে অর্থ নগণ্য। একটুকু ভালবাসা কি যায় না তাকে? হোক না সে আপনার অপরিচিত, কিন্তু একজন সম্ভাবনাময়ী তরুণ অভ্রকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন সবাই এভাবেই বন্ধুরা ফেসবুক এবং সামাজিক সাইট গুলোতে আকুল আবেদন জানাচ্ছেন অভ্রকে বাাঁচাতে। নিজেদের গাড়িভাড়া, মাসের খরচ, টিফিন খরচ দিয়ে বন্ধুরা আর পারছেন না অভ্রর চিকিৎসা টেনে নিতে। আর তাই অভ্রর বন্ধু, কারাতে হোনকে শতোকান কারাতে দো এসোসিয়েশনের সদস্যরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে ।



অভ্র দুরারোগ্য হেপাটাইটিস-বি, যক্ষা ( টি.বি) এবং ব্রেন হেমারেজে আক্রান্ত । ইতোমধ্যে তার শরীরের কিডনি, লিভার, স্টমাকসহ প্রতিটি অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর পর খিঁচুনি, প্রচন্ড বমি হচ্ছে অভ্রর। প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার টাকার ওষুধ খরচ লাগে অভ্রর জন্যে। টাকার অভাবে একদিন দুইদিন বাদ দিয়ে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। তাকে আরো কিছুদিন পৃথিবীর আলো বাতাস উপভোগ করতে দিতে পারি। চট্টগ্রাম ফ্রেন্ডস ক্লাবের হোনকে শতোকান কারাতে দো এসোসিয়েশন থেকে এ বছর ব্ল্যাক বেল্ট পেয়ে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গিয়েছিলো অভ্রর জীবনে। এর আগে ২০১২ সালে চট্টগ্রাম জেলা কারাতে লীগের (-৫০) ওজন প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে অভ্র। কিন্তু হঠাৎ যেন অন্ধকারে ডুবে গেলো তার সম্ভাবনাময় জীবন। অভ্র জ্যোতি মজুমদার পাহাড়তলী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ।

এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অভ্র মৃত্যুর প্রহর গুণছে। তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অভ্রর বাবা প্রণয় বিকাশ মজুমদার সন্তানের অসুস্থতার খবরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাাশায়ী।তার শরীরের বামপাশ অচল। পক্ষাঘাতগ্রস্ত দুর্ভাগা পিতা প্রণয় বিকাশ মজুমদার পাহাড়তলী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক। ১২ লাখ টাকা হলে হয়তো অভ্রকে বাঁচানো সম্ভব হবে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

এই মুহুর্তে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে উন্নত চিকিৎসা প্রদান জরুরী। মমতা মজুমদার , সোনালী ব্যাংক , লালদীঘি কর্পোরেট শাখা, এ্যাকাউন্ট নম্বর -৩৪১১৮৭৩২ । বিকাশ নম্বর -০১৮৩৫০০০৭২৯ –তীর্থ তালুকদার সুমেত। প্রয়োজনে যোগাযোগ -মোহাম্মদ ইমরান ০১৬৭৩৬২৬৮২৯।

(এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৪)