মাগুরা প্রতিনিধি : জেলার চার উপজেলার মন্ডপে- মন্ডপে চলছে শারদীয় দূর্গা পূজার ব্যাপক প্রস্তুতি। এ বছর জেলার ৪ উপজেলার ৫৭৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজা মন্ডপে প্রতিমার রংয়ের শেষ আঁচড় চলছে। রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে চালিয়ে যাচ্ছেন শিল্পীগণ রংয়ের কাজ।


পূজা কমিটি থেকে শুরু করে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে।

জানা গেছে, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও জেলার চার উপজেলায় মোট ৫৭৭ খানা দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অন্য বছর গুলোর তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে দূর্গা পূজার আয়োজকদের।এর পরও আয়োজনের কমতি নেই।রকমারি সাজে সাজানো হচ্ছে মন্ডপগুলো। রাত-দিন চলছে সাজ সজ্জার ধুম।


জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাবু বসুদেব কুন্ডু জানান- এবছর জেলায় মোট ৫৭৭ খানা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় ১৮৫খানা,শালিখা উপজেলায় ১৩২ খানা,শ্রীপুর উপজেলায় ১৩৪ খানা ও মহম্মদপুর উপজেলায় ১১৮খানা পূজা উদযাপন হতে যাচ্ছে। বিগত বছর গুলোর ন্যায় এবছরও জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের প্রখর দৃষ্টি এবং সহযোগিতায় সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান উদযাপিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।

জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশা-পাশি গোয়েন্দা নজরদারি, আনসার ভিডিপির সদস্যগনসহ প্রশাসনের সকল পর্যায়ের সদস্যগণ পূজার নিরাপত্তা রক্ষার্থে কাজ করে যাবে।
শালিখা উপজেলা পূজাউদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর বিমল দাস ও সাধারণ সম্পাদক সীতান চন্দ্র বিশ্বাস জানান ,বিগত বছর গুলোর তুলনায় এ বছর দূর্গোৎসবের ব্যয় দ্বিগুন হওয়ায় প্রত্যেক পূজা কমিটির পূজার খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা আরও জানান প্রতিটি মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশা-পাশি নিজেদের সেচ্ছাসেবক বাহিনী নিয়োগ করা হবে। শান্তিপূর্ন পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায় পূজার দিন গুলোতে শহর ও গ্রাম এলাকার পূজামন্ডপ গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। থাকছে র‌্যাবের বাড়তি টহল।এ ছাড়া আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা দেবে আনসার-ভিডিপি ও কমিটির সেচ্ছা সেবকদল।
এদিকে দিকে দেবীদূর্গার পূজার প্রারম্ভে ভাস্কররা রাত দিন ব্যস্ত প্রতিটি পুজা মন্ডপে প্রতিমার গায়ে নিখুঁত হাতে রংতুলির আঁচড় দিতে। দূর্গোসৎসব উপলক্ষ্যে প্রতিটি মন্দিরকে সাজানো হচ্ছে বর্নীল সাজে। শোভাবর্ধনের জন্য শুধু শহরই নয় গ্রাম এলাকায়ও র্নিমাণ করা হচ্ছে নানা ডিজাইনের তোরণ। গুরুত্ব পূর্ন সড়ক ও মন্দির মুখে আলোক সজ্জার প্রস্তুতি চলছে।

(ডিসি /এসসি/সেপ্টেম্বর২৪,২০১৪)