লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : জমির লিজ সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার রামপুরের দেওয়ান শাহ ফয়জুল্লাহ এতিমখানা-মাদ্রাসার সুপার শরীফ আরিফুজ্জামান হিলালীকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনার পর তিনি লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুবাড়িয়া মৌজায় ৫৯৫ নং খতিয়ানের সাবেক ১৭২৯ দাগের ৭০ শতক জমি বাংলা ১৪২১ সালের জন্য বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য ওই এতিমখানা ও মাদ্রাসার সুপার লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)‘র নিকট আবেদন করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে উক্ত অফিসে শুনানীর দিনে প্রতিপক্ষ রামপুর গ্রামের মাজহারুল ইসলামের পক্ষে পার্শ্ববর্তী দাশেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত মাজেদ ফকিরের ছেলে জহির আহম্মদ ফকির শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন। শুনানীকালে জহির আহম্মদ ফকির আরিফুজ্জামান হেলালীকে আপক্তিকর কথা বললে আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) জহির আহম্মদ ফকিরকে শান্ত হতে বলেন।

এরপর জহির আহম্মদ ফকির আদালত থেকে বের হয়েই তার অন্যতম সহযোগী কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত দাউদ হোসেন সমজদারের ছেলে যাবের হোসেন সমজদার যোগসাজস করে আদালত চত্বরে আরিফুজ্জামান হিলালীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এ সময় আরিফুজ্জামান হিলালী আদালত চত্বরে উপস্থিত লোকজনদের সহযোগিতায়া রেহাই পান। ২২ সেপ্টেম্বর জহির আহম্মদ ফকির তার মোবাইল দিয়ে ফের আরিফুজ্জামান হিলালীকে জীবননাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে জহির-যাবেরকে আসামী করে গত মঙ্গলবার সকালে (২৩ সেপ্টেম্বর) লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি)দায়ের করেছেন। সাধারন ডায়েরী নং-৯৪৪,তাং-২৩/৯/১৪ ইং। ওই দিনই বিকালে লোহাগড়া থানার এসআই নয়ন পাটোয়ারী সৃষ্ট ঘটনার তদন্ত করে বলেন,এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য,জহির-যাবের চক্র দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার রামপুর,কচুবাড়িয়া,এড়েন্দা,কাশিপুরসহ অন্যান্য এলাকার সংখ্যালঘুসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষজনদের জমি জাল-জালিয়াতি করে ভোগ দখল করে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়সহ জাতীয় পত্র পত্রিকায় একাধিকসংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

(আরএম/এএস/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪)