ঝালকাঠি প্রতিনিধি : বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস বলেন, ব্যবসায়ীদের ফরমালিন প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নেয়া উচিত। খাদ্যদ্রবে ভেজাল মিশ্রনের ন্যায় গরু মোটাতাজাকরণে বিষাক্ত ঔষধ ব্যবহৃত হচ্ছে। যা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। ভেজাল খাবার প্রতিরোধে গণসচেতনতা আজ সামজিক আন্দেলনে রূপ নিয়েছে।

ভেজাল বিরোধী আইন থাকলেও এখন সচেতনতার কারণেই মানুষ ভেজাল দ্রব্য পরিহার করছে। এখন থেকে প্রতিদিন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভেজাল বিরোধী অভিযান চলবে। এ অভিযানের সাথে আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। যারা ভেজাল খাদ্য বিক্রি করে তারা সমাজ ও মানবতার শত্রু। প্রতিটি বাজারে ভেজাল মিশ্রিত খাদ্য দ্রব্য চিহ্নিত করতে একটি মেশিন কেনার জন্য বাজার কমিটিকে চিঠি দেয়া হবে। জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন। আশাকরি ঝালকাঠি পৌরমেয়র এই মেশিন ক্রয়ের ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভেজালকারিদের কোন ভাবে ছাড় দেয়া হবে না। আমি আপনাদের সবাইকে ভেজাল বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি। যা ভেজাল বিরোধী আন্দোলনকে সফল করে তুলবে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে সকাল ১০ টায় খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্য ও ভেজাল মিশ্রন নিরোধ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহ্রিয়াজ, পৌরমেয়র আফজাল হোসেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, ঝালকাঠি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালি, ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শাহ্আলম শাহিন, ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আ. খালেক প্রমুখ।

(ডিএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪)