বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাটে রপ্তানীপন্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে অপদ্রব্য পুশ করার সময়ে প্রায় ২৫ মন চিংড়ি জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় চিংড়ি ডিপোতে থাকা শাহ জালাল সরদার নামে (৩০) এক কর্মচারীকে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাকিম শাহ মো. রফিকুল ইসলাম জেলার ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওইসব চিংড়ি জব্দ করে এবং একজনকে কারাদণ্ড দেয়। তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত শাহ জালাল সরদার খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার এলাকার আসমত আলী সরদারের ছেলে। সে ফলতিতা বাজারের ওবায়দুর রহমানের আড়ৎ এর কর্মচারী।

বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাকিম শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকালে ফকিরহাট উপজেলা ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ এ অভিযানে যাই। বাজার গিয়ে বাগদা ও গলদা চিংড়ি কেনাবেচা করা ঘরে গিয়ে দেখি সাগু ও জেলি জাতীয় রাসয়নিক দ্রব্য মিশিয়ে চিংড়ির ওজন বাড়াতে শ্রমিকরা কাজ করছে। এসময় ওই সব ঘরে কাজ করা মালিক ও শ্রমিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহ জালাল নামে এক কর্মচারীকে ধাওয়া করে আটক করি এবং সাতটি আড়ৎ থেকে প্রায় ২৫ মন চিংড়ি জব্দ করি। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে শাহ জালাল চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার কথা স্বীকার করলে তাঁকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দ করা প্রায় ২৫ মন চিংড়ি ধবংস করা হয়।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪)