ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাণীশংকৈল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডগার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তৌহিদুল ইসলাম। তবে বিচারক আবেদন বাতিল করে তৌহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তৌহিদুল ইসলাম রাণীশংকৈল উপজেলার সহোদর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে এবং রাণীশংকৈলে পাইলট হাইস্কুলের কম্পিউটার ল্যাব সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

জানা যায়, রাণীশংকৈল পাইলট হাইস্কুলের কম্পিউটার অপারেটর শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের প্রলভোনে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তৌহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

তৌহিদুল ১৫ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে বিয়ে করতে চান। ওই ছাত্রীর বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ লোকজন গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তৌহিদুলের বাড়িতে রেখে আসেন। ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নিলে তৌহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে প্বার্শবর্তী উপজেলা হরিপুরে বিয়ে করেন।

এর আগে গত ৫ মার্চ শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামকে আসামি করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা গফুর আলী বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেইদিন তৌহিদুল ইসলামের বিচারের দাবিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পৌর শহরে মানববন্ধন করে। সেই সঙ্গে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরপর আরো চার দফায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সর্বশেষ ১৩ মার্চ তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে সম্মিলিত ছাত্রজোট ও সম্মিলিত অভিভাবক মহলের ব্যানারে ঘণ্টাব্যপী আন্দোলন করে তারা।

(এই/এএস/মার্চ ১৪, ২০২২)