কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : ঈদুল আজহা সামনে রেখে নড়াইলের কালিয়া সহ আশপাশের এলাকায় কোরবানির গরু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গরু ব্যবসায়ী সহ চাষিরা। তারা প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে কোরবানির গরু প্রস্তুত করনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করনের ফলে হুমকি সম্মুখীন হচ্ছে জন স্বাস্থ্য বলে বিশেষঞ্জদের অভিমত।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,কালিয়া ও এর আশপাশের এলাকায় প্রতি বছর লক্ষাধিক গরু ও ছাগল কোরবানি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ওই সব কোরবানির পশু মোটাতাজা করে বেশী মূল্য পাওয়া সম্ভব নয়।আবার খরচও বেশী। তাই অতি মুনাফা লোভী এক শ্রেনীর গরু ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা স্বাভাবিক খাবার খড়,ভুষি,লালি গুড়,খইল প্রর্ভৃতির পাশাপাশি ডেক্সামেথাসন ও ষ্টেরয়েড সহ বিভিন্ন রকমের ভয়ানক ক্ষতিকারক উপাদানের নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়ে গরু ও ছাগল মোটাতাজা করনের কাজ করছে। কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন,অল্প সময়ের মধ্যে গরু ছাগল মোটতাজা করতে হলে ওষুধ প্রয়োগ ছাড়া কোন উপায় নেই। ব্যবসার স্বার্থেই মানুষ ওই পথ বেছে নিয়ে থাকে।এমনকি অনেক গৃহস্তও অধিক লাভের আশায় ওইসব ওষুধ প্রয়োগ করে থাক বলে তারা জানান।

কালিয়া উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাশ বলেছেন,ডেক্সামেথাসন জাতীয় ওষুধ পশু বা মানুষ কে খাওয়ালে এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মধ্যে মোটাতাজা হয়ে উঠবে।তবে ওই মোটতাজা বেশী দিন স্থায়ী হবে না। খুব বেশী হলে ৩ থেকে ৪ মাস। তিনি আরও বলেন, গরুকে ষ্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর ফলে গরুর শরীরে এক ধরনের বিষাক্ত পানি ও চর্বি জমা হয়। যাতে করে গরুর মাংশ ও বিষাক্ত হয়ে পড়ে।যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।

তিনি বলেন,নিষিদ্ধ ওইসব ওষুধ প্রয়োগের কথা শোনা যায়।কিন্তু সুনিদৃষ্ট কোন অভিযোগ না থাকায় তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে ওষুধের দোন গুলোতে যাতে ওইসব নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রি না হয়,সে জন্য চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবুল হোসেন বলেছেন, ষ্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন করিয়ে মোটাতাজা করা গরুর গোশত খেলে মানুষের লিভার,কিডনি ও মস্তিস্কের রক্তক্ষরন সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

(এমএইচএম/এটিঅার/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৪)