রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম মামীমের বিরুদ্ধে বিক্রেতার অতিরিক্ত জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন জমি বিক্রেতার পরিবার।

অপরদিকে, আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

বুধবার (১৬ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন জামালপুর শহরের স্টেশন রোডের বাসিন্দা একেএম নুরুল ইসলাম খোকনের মেয়ে শাহরিয়ার পারভীন সোমা।

অন্যদিকে, বিকেল ৪ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগটি বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেছেন ব্যবসায়ী মামীম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোমা বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে কয়েক ধাপে ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম মামীমের কাছে শহরের স্টেশন রোডের ১৪.৮০ শতাংশ জমি বিক্রি করেন তিনি ও তার চাচাতো ভাই। এই জমি বিক্রির পর অবশিষ্ট জমিতে বসবাস করে আসছিলেন তিনি ও তার পরিবার। হঠাৎই ৪ বছর আগে রাতে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে কোটি টাকা মূল্যের বাকি জায়গাটুকু দখল করে নেন মামীম ও তার সহযোগীরা। এরপর অনেকের কাছে এ বিষয়ে বিচার দেওয়া হলেও কোনো সুরাহা পাওয়া যায়নি। পৌরসভায় বিচার দেওয়া হলেও কোনো সমাধান দেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে সেই জায়গায় এখন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন মামীম।

সোমা আরো জানান, এই জমির শোকে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। এখন দুটি কন্যা সন্তান ও অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন। দীর্ঘ কয়েকটি বছর নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেও কোনো কাজ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি।

এছাড়াও কোনো থানায় বা আদালতে মামলা করার মতো আর্থিক অবস্থা তাদের নেই। মামীম প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি ও তার পরিবার।

তাই এই জমি পুনরুদ্ধারে সরকারের কাছে আইনি সহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা চেয়েছেন শাহরিয়ার পারভীন সোমা।

এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম মামীম একই দিন বিকাল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে আমি জমিগুলো ক্রয় করি। আমার কাছে সব দলিল রয়েছে। এই ক্রয়কৃত জমিতেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ব্যবসায়িক ও সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই।

(আরআর/এসপি/মার্চ ১৬, ২০২২)