স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের ১০ম ও ১১তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আগামী ১৫ অক্টোবর ১২তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনাল সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ায় তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের ১০ম সাক্ষী বিমল চন্দ্র ব্যাপারী (৬০) তার সাক্ষ্যে বলেন, আসামি আব্দুল জব্বারের নির্দেশে রাজাকাররা একাত্তর সালে কুলুপাড়া ও ফুলঝুড়ি গ্রামের আনুমানিক ১৫০ থেকে দু’শ হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে জোরপূর্বক কলেমা পড়িয়ে ধর্মান্তর করেন এবং তাদের নাম পরিবর্তন করানো হয়।

তিনি বলেন, একাত্তর সালের ১৬ মে তুষখালী হাইস্কুল মাঠে জব্বার ইঞ্জিনিয়ার মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ে হিন্দুদেরকে তিনি 'পাকিস্তানের শত্রু' বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অর্থ-সম্পত্তিকে 'গনিমতের মাল' হিসেবে ঘোষণা করেন।

সাক্ষী বলেন, তার এ ঘোষণার ফলে রাজাকাররা আমাদের সাতটি বাড়ির ঘর লুটতরাজ করে ৭২ বান্ডিল টিন, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মাল লুটপাট করে এবং বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪)