রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভাত চাওয়ায় বাবুর্চির হাতে মারধরে রক্তাক্ত হওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগী। অপরদিকে, ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান।

রোগী সুজন মিয়া (৩৫) জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা পুরাতন পাড়ার মৃত খোকা মিয়ার ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের ৩য় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

৩য় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুজন মিয়ার অভিযোগ, 'পায়ে ঘা হইছিল। তাই রবিবার হাসপাতালে ভর্তি হই। আমি কোনো বেড পাইনেই। ফ্লোরে থাকি। প্রতিদিন সবাইরে ভাত দেয়, আমারে দেয় না। মা ছাড়া আমরা আর কেউ নাইখে। আমরা গরিব মানুষ, তাই বাইরে কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নাই। আইজ ওয়ার্ডে ভাত দিবের আইলে আমি ভাত চাইছি দেইখে বাবুর্চি ফজলু আর ওসমান আমারে লাথি মারে ও ধাক্কা দেয়। আমার পা কাইটে গেছে। আমার পা দিয়ে মেলা রক্ত ঝরছে। পরে ডাক্তররা আমার পা ড্রেসিং কইরে দিছে।”

তিনি আরও বলেন, 'হাসপাতালে মানুষ সেবা নিবের আহে, মাইর খাওনের জন্যে তো আহে না। আমারে যে এইভাবে মারলো আমি এর বিচের চাই।'

এ বিষয়ে বাবুর্চি ফজলু মিয়া জানান,
'রোগীরা খাবার নেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কিতে হয়তো সে ব্যথা পাইছে। এখন সে অযথা আমার দোষ দিচ্ছে।'

জানতে চাইলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, 'হাসপাতালে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো রোগী যদি এমন অভিযোগ করে তাহলে সেটি মিথ্যা।'

(আরআর/এসপি/মার্চ ২২, ২০২২)