আবু নাসের হুসাইন, সালথা : পেঁয়াজের রাজধানী ফরিদপুরের সালথায় হালি পেঁয়াজ উত্তোলন শুরু হয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ফলন কম হচ্ছে। সেই সাথে দামও কম পাচ্ছে কৃষকেরা। এবছর উপজেলায় ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও অর্জিত হয় সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর। পেঁয়াজ আবাদের মৌসুমে বৃষ্টির কারণে হালি পেয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত কম হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন, বৃষ্টির কারণে এবছর পেঁয়াজের হালি লাগানো দেরী হয়েছে। তাই ফলন আগের চেয়ে কম হবে। একই গ্রামের জসিম মোল্যা বলেন, পেঁয়াজের ফলন ভালই হবে। তবে প্রতি মণ পেঁয়াজের বাজার মুল্যে কম পাচ্ছে কৃষকরা। একমণ পেঁয়াজ উৎপাদণে খরচ বর্তমান বাজার মুল্যের চেয়েও বেশি।

ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের কাইয়ুম মোল্যা বলেন, এবছর ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। বিঘা প্রতি ৭০/৮০ মন পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। বর্তমান বাজার মুল্যে ৮শ’ থেকে ৯শ টাকা। এরকম মুল্যে থাকলে আমাদের আসল উঠবে। তবে বর্গা চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। চলমান বাজার যদি ১২শ টাকা থেকে ১৫শ টাকা হয় তাহলে কৃষক বাঁচবে। অন্যান্য পণ্যের মূল্যে হিসেবে পেঁয়াজের মুল্যে অনেক কম।

উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাস বলেন, এবছর উপজেলায় হালি পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে। হালি পেঁয়াজ আবাদের সময় ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চলে পানি জমে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত কম হয়েছে। তবে পেয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। পেঁয়াজের আরেকটু দাম পেলে কৃষকের পক্ষে ভালো হতো।

(এন/এসপি/মার্চ ২২, ২০২২)