রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো উঁচু স্থানে ঠাঁই নিয়েছে। খাদ্য ও খাবার পানির সংকট চরমে উঠেছে। তীব্র স্রোতে ভেঙ্গে গেছে শিবেরডাঙ্গী বালিয়ামারী বেড়িবাঁধ। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় ৪ বিজিবি ক্যাম্পে হাটু পানি হওয়ায় ক্যাম্প ছেড়ে জোয়ানরা নিরাপদে সরে গেছেন।

বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ইউএনও আব্দুল হান্নান ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন। উপজেলা প্রশাসন বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ১০ টন খয়রাতি চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

অপরদিকে রাজীবপুরের বালিয়ামারী সীমান্তে বর্ডার হাট ডুবে যাওয়ার কারনে দুই সপ্তাহ থেকে হাটের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঢলের স্রোতে সীমান্ত এলাকার রাস্তাঘাট ও ব্রিজকালভার্ট ধসে পড়েছে। শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। শিবেরডাঙ্গী বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রৌমারী-ঢাকা সড়ক। বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকার ২৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল হক জানান, পাহাড়ি ঢলের ঘোলা পানিতে সীমান্ত এলাকার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর রোপা আমন এখন পানির নিচে। এতে রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

(আরইএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৪)