নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার, ঈশ্বরগঞ্জ : ঈশ্বরগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে পান চাষ। বর্তমানে উপজেলার জাটিয়া, চর হোসেনপুর, নিজতুলন্দর, তারুন্দিয়া বড়হিত, সোহাগী এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পানের বরজ গড়ে ওঠেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পান চাষের উপযোগী মাটি থাকায় বর্তমানে ৮২ হেক্টর জমিতে ছোট বড় প্রায় ৪’শ টি পানের বরজ গড়ে ওঠেছে। এটেল দোঁআশ ও বেলে দোঁআশ মাটিতে লালডিঙ্গী, গয়েশ্বরপুর ও ভেড়ামাড়া দেশীয় জাতের পানের আবাদ হচ্ছে। ফলন ভালো হলে প্রতি হেক্টর জমি থেকে প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ মে. টন পান সংগ্রহ করা যায়। বৈশাখ মাস থেকে শীতের আগ পর্যন্ত অধিক পরিমাণে পান উৎপাদন হয় বলে চাষীরা জানান। উৎপাদিত পান এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় রপ্তানি হচ্ছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় সপ্তাহে একদিন বরজ থেকে পান সংগ্রহ করে ঈশ্বরগঞ্জ, হারুয়া, সূর্য্যার বাজার ও সোহাগী এলাকায় পান বিক্রির জন্য নেওয়া হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে পান চাষ অধিক লাভবান এবং সারা বছর এ থেকে অর্থ আসার কারনে কৃষকরা পান চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে ওঠছে। প্রতি কাঠা বরজ থেকে বছরে ৩ লক্ষ টাকার পান বিক্রি করা যায়।

উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ঘাঘড়াপাড়া গ্রামের পান চাষী শহিদ মিয়া (৫০) ও হুমায়ুন কবীর (২৭) জানান, বরজে প্রচুর পরিমাণে বাঁশের প্রয়োজন কিন্তু আশে পাশে বাঁশ না থাকায় অধিক দামে দূর থেকে কিনে আনার ফলে বরজ তৈরি করতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। তবে একবার বরজ তৈরি করার পর বছর বছর সংস্কার করলে দীর্ঘদিন পান সংগ্রহ করা সম্ভব। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও সার্বক্ষণিক পানের বরজের বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের সমস্যার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, পান চাষের পাইলট আকারে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। অত্র উপজেলার পান আবাদের তথ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে যাতে আগামীতে অত্র উপজেলাকে এ প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করা হয়।

(এন/এসপি/মার্চ ২৪, ২০২২)