জয়পুরহাট প্রতিনিধি : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জয়পুরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। এতে শাক-সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে কয়েকশ পুকুর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্যায় জয়পুরহাট সদরের হিচমী, চৌমুহনী, মিরগ্রাম, বানিয়াপাড়া, ধারকি, সোটাহার, পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপাড়া, সুখানপুকুর, ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর, মহব্বতপুর, ও আক্কেলপুর উপজেলার জিয়াপুর, আওয়ালগাড়ীসহ কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের কৃষক আহমেদুর রহমান দুলু জানান, তার ১২ বিঘার মধ্যে ৮ বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। বেশ কয়েক বিঘা জমির কচু, লাউ, বেগুনের ক্ষেত পানির নীচে। এ সব জমির কোনো ফসলই পাবেন না বলে জানান তিনি।

সদর উপজেলার ধারকি গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, তার জমির আমন ধান খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু বন্যার কারণে ধান ঘরে তুলতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহাকারী প্রকৌশলী মো. মার্জান হোসেন জানান, জেলার ৪টি নদীর মধ্যে তুলসীগঙ্গা ও ছোট যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। গত ২ দিনে এ দুটি নদীর পানি কমপক্ষে এক ফুট বেড়েছে। পানি দু-এক দিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

জেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান এবং প্রায় ৫ শ’ হেক্টর সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকেরা।

তবে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এজেডএম ছব্বির জানান, সাড়ে ৯ শ’ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান এবং করলা, বেগুন, শশাসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির জমি তলিয়ে গেছে।

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪)